শহীদ আবরার ফাহাদ কেবল বুয়েটিই নয় বরং গোটা বাংলাদেশের জন্য এক স্মরণীয় নাম। ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে তার শাহাদাতের মাধ্যমে যে সংগ্রামের শুরু, তারই পরিণতি বলা চলে হালের দ্বিতীয় স্বাধীনতা। গতকাল ৭ অক্টোবর ছিল শহীদ আবরার ফাহাদের ৫ম শাহাদাত বার্ষিকী। এ উপলক্ষে বুয়েটেও ছিল দিনব্যাপী নানা আয়োজন।
সকাল ১১ টায় বুয়েটের শেরে বাংলা হলে আবরার ফাহাদের স্মরণে স্মৃতিফলক এর ভিত্তি প্রস্থর উদ্ভোদন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. বি. এম. বদরুজ্জামান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘আমি আবরার ফাহাদের বাবা ও তার পরিবারবর্গের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি যে আপনারা সন্তানকে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন কিন্তু আমরা তাকে রাখতে পারিনি। আল্লাহর কাছে একটিই দোয়া, ঘরে ঘরে যেন আবরার ফাহাদের মতো সন্তান আসে- যারা সত্য বলতে ভয় পাবে না, যারা দেশের জন্য লড়বে।’
শেরেবাংলা হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার ঘোষণা দেয়া হয়। দুপুর ১ টায় বুয়েটের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আশেপাশের গরীব মিসকিনদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়। সন্ধ্যা ৬ টায় আয়োজন করা হয় শহীদ আবরার ফাহাদ স্মরণে স্মরণসভা । এ সভায় ছাত্র কল্যাণ পরিচালক ড. আল আমিন সিদ্দিক, আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ও এলামনাই মাহমুদুর রহমান, শহীদ আবরারের পিতা জনাব বরকতুল্লাহ, ভাই আবরার ফাইয়াজ সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
মাহমুদুর রহমান বলেন, "ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৫৪ বছর ধরে আমাদের যে সংগ্রাম চলছে, শহীদ আবরার ফাহাদের শহীদ হওয়ার ঘটনা এই সংগ্রামের টার্নিং পয়েন্ট। আমরা শহীদ আবরার ফাহাদকে আগামী শত বছর পরেও স্মরণ করতে চাই যে তিনি একজন অসামান্য সাহসী যোদ্ধা ছিলেন। আবরার ফাহাদ এই শতাব্দীর শহীদ তিতুমীর।"
সারাদিন সকল প্রোগ্রামে দৃশ্যমান ছাত্রছাত্রীদের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণ।
এখনো কোনো মন্তব্য যুক্ত হয়নি!