রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের নিয়ে কর্তৃপক্ষ থেকে আশানুরূপ কোন তৎপরতা না দেখায় সার্বজনীন ক্লাস ও পরীক্ষা বয়কটের ডাক দিয়েছে বুয়েটের সকল সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
৫ই আগস্ট বাংলাদেশের পূর্ববর্তী সরকার পতনের পর থেকেই বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতায় অভিযুক্তদের বিচারের দাবি জানাতে শুরু করে। এরই মধ্যে গত ৩১শে আগস্ট বুয়েটে পুনরায় একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। তখন থেকেই অহর্ণিশ ’১৯ সহ অন্যান্য ব্যাচ এর শিক্ষার্থীরদের সাথে বুয়েট কর্তৃপক্ষের কয়েক দফা আলোচনা হয় এবং শিক্ষার্থীদেরকে বারবারই তাদের এই ন্যায্য দাবি নিয়ে আশ্বস্ত করা হয়। কিন্তু একাডেমিক ক্যালেন্ডারের চার সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও রাজনৈতিকভাবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। ইতোমধ্যে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ন্যূনতম শাস্তি হিসেবে হলের সিট বাতিল না করায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এর প্রেক্ষিতে আজ (২৪ সেপ্টেম্বর,২০২৪) মধ্যরাতে শিক্ষার্থীরা অভিযুক্তদের হল থেকে বের করে দেয়, বিশেষ করে সোহরাওয়ার্দী ও রশিদ হলে অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির উদ্ভব হয়।
এই পরিস্থিতিতে, অহর্নিশ ১৯-এর আহ্বানে সকল ব্যাচ একত্রিত হয়ে তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম বয়কটের কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তদন্ত দ্রুত সমাপ্ত করার দাবিতে আজ মঙ্গলবার সকল ক্লাস ও পরীক্ষা বয়কট করা হয়।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, আগামীকাল ও এই বয়কট চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এখনো কোনো মন্তব্য যুক্ত হয়নি!