বুয়েটে স্নাতক পর্যায়ের জানুয়ারি' ২০২১ টার্ম ফাইনাল পরীক্ষার পিএল এবং পরিক্ষার সময় বাড়ানো হয়েছে। এছাড়াও কোভিড পলিসি হিসেবে মুলতবি পরীক্ষার নীতিমালা অন্তর্ভুক্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুয়েটের ৪৬৯তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী বুয়েট ওয়েবসাইটে পরীক্ষার বিস্তারিত নীতিমালা দিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা ১০ দিন পিছানো হয়েছে। সংশোধিত নীতিমালায় শিক্ষার্থীদের পূর্বের নীতিমালা পুনর্বিবেচনার অনুরোধ গ্রহন করা হয়।
নতুন নীতিমালায় পরীক্ষার সময় ২ ঘন্টা থেকে বাড়িয়ে ২ ঘন্টা ৩০ মিনিট এবং আপলোডের সময় ১৫ মিনিট থেকে বাড়িয়ে ৩০ মিনিট করা হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালীন শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক দুইটি ডিভাইস রাখার জন্যে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে ডিভাইস ক্রয়ের জন্যে শিক্ষার্থীরা চাইলে স্ব-স্ব হলের মাধ্যমে বিনা সুদে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন সুবিধা গ্রহন করতে পারবে।
টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা চলাকালীন কোন ছাত্র-ছাত্রী বা তার পরিবার বর্গের কেউ কোভিড আক্রান্ত হলে অথবা কোভিড জনিত কারনে পরিবারের কারও মৃত্যু হলে সে মুলতবি পরিক্ষার আবেদন করতে পারবে। এক্ষেত্রে এই টার্মে একজন শিক্ষার্থীকে মুলতবি পরিক্ষার জন্যে কেবল একবারই সুযোগ দেওয়া হবে। কোনো শিক্ষার্থীকে বিঘ্নিত পরিক্ষার নির্ধারিত তারিখের পরবর্তী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে এডভাইজার এবং বিভাগীয় প্রধানের মাধ্যমে মুলতবি পরিক্ষার আবেদন করতে পারবে। একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ৩ টি কোর্সে মুলতবি পরিক্ষার আবেদন করতে পারবে। বিঘ্নিত পরিক্ষা যদি ৩ টির বেশি হয় সেক্ষেত্রে টার্ম প্রত্যাহারের সুযোগ থাকবে এবং সেক্ষেত্রে কেউ চাইলে টার্ম প্রত্যাহার করেও আবেদন সাপেক্ষে ৩ টি কোর্সের মুলতবি পরিক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবে যা ক্যারী ওভার হিসেবে গন্য হবে। বাকি কোর্সগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী পরিবর্তীতে সম্পন্ন করতে পারবে।
মুলতবি পরিক্ষার আবেদনের জন্যে কোভিড টেস্টের রিপোর্ট ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র দাখিল করতে হবে। আবেদনের সময় যদি এসব দাখিল করতে না পারে সেক্ষেত্রে উক্ত রোগের ব্যাপারে পরিক্ষার্থীকে একটি ঘোষনা পত্র জমা দিতে হবে।
এর আগে গত (৪৬৮ তম) একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী পরীক্ষার নীতিমালা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সেই সাথে নীতিমালা পুনর্বিবেচনা করার জন্য বেশ কয়েকবার করে কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি পেশ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে নতুন নীতিমালা প্রকাশ করতে বাধ্য হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ফাইনাল পরীক্ষায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করবে বলে আশা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
তথ্যসূত্রঃ বুয়েট ওয়েবসাইট
এখনো কোনো মন্তব্য যুক্ত হয়নি!