বুয়েটের শিক্ষার্থী আরিফ রায়হান দ্বীপের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ।২০১৩ সালের এই দিনে বুয়েটের নজরুল হলে নৃশংস হামলার শিকার হওয়ার পর হাসপাতালে থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে সে।
২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারী মাস।যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে উত্তাল তখন সারা দেশ।শাহবাগের সেই গণজোয়ারে শামিল হয়েছিলেন বুয়েটের এক ছাত্র।যন্ত্রকৌশল ৩য় বর্ষের আরিফ রায়হান দ্বীপ।শাহবাগ আন্দোলনের প্রথম পোস্টার এসেছিল এই দ্বীপের হাত ধরেই।এছাড়া তখনকার প্রতিটি আন্দোলনেই ছিল দ্বীপের সরব উপস্থিতি।
এরপর এপ্রিলে দেশ আবারও উত্তাল হয় হেফাজতের শাপলা চত্ত্বর আন্দোলনের সময়।এসময় স্মৃতি হলের ইমাম নিয়ম ভঙ্গ করে আন্দোলনকারীদের খাবার সরবরাহ করলে দ্বীপসহ মৌলবাদবিরোধী শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে ইমামকে অপসারণ করা হয়। এই ঘটনাই দ্বীপের জীবনে বিপদ নিয়ে আসে।তাকে নাস্তিক,ধর্মবিদ্বেষী আখ্যা দেওয়া হয়।তারই ফলশ্রুতি এই হামলা।
২০১৩ সালের ৯ এপ্রিল বুয়েটের নজরুল হলে নিজ কক্ষে হামলার শিকার হন দ্বীপ। স্থাপত্য বিভাগের ৪র্থ বর্ষের সন্দেহভাজন হেফাজতকর্মী মেজবাহউদ্দিনের চাপাতির কোপের আহন হন তিনি। মুমূর্ষু দ্বীপকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে স্কয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এখানেই ৮৩ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ২০১৩ সালের ২ জুলাই ভোর চারটার দিকে মৃত্যুবরণ করেন দ্বীপ।
এখনো কোনো মন্তব্য যুক্ত হয়নি!